নূরুল হক, মণিরামপুর প্রতিনিধি:খুলনার রূপসায় হিন্দু সম্প্রদায়ের দোকানপাট, মন্দির, প্রতীমা ও বাড়িঘর ভাঙচুরসহ সারাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মণিরামপুরে মানবন্ধন কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মণিরামপুর উপজেলা ও পৌর পূজা উদযাপন পরিষদ এবং উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের যৌথ আয়োজনে শনিবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে প্রায় ঘন্টা ব্যাপি ২শতাধিক নারী-পুরুষ এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তুলসী দাস বসুর সভাপতিত্বে ও পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পলাশ ঘোষের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তরুণ কুমার শীল, উপদেষ্টা অরুণ কুমার নন্দন, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা তপন কুমার ভট্টাচার্য, আহবায়ক সুনীল কুমার ঘোষ, সাবেক সভাপতি উত্তম মিত্র, যুগ্ন-আহবায়ক অজিত কুমার ঘোষ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ তাপস কুন্ডু, পৌর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহবায়ক বিমল কুমার সরদারসহ সংগঠনের উপজেলা, পৌর ও বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তরা খুলনার রূপসার শিয়ালী গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জানমালের ওপর হামলার ঘটনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের খুজে বের করে আইনের আওয়াতায় এনে যথাযথ শাস্তির দাবী করেন।
বক্তারা আরও বলেন, দেশের সুনাম বিনষ্ট করার জন্য এক শ্রেণির মানুষ দেশের সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিশৃংখলা বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। তারা পরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা, মন্দির ভাঙচুর ও সম্পদ লুটপাট করছে। বাংলাদেশ থেকে হিন্দুদের তাড়াতে চাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় খুলনার রূপসার শিয়ালি গ্রামে হিন্দুদের দোকানপাট, বসতভিটাসহ মন্দিরে হামলা চালায়। অনতিবিলম্বে বক্তারা দোষীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনে দ্রত বিচার ট্রাইবুনালে শাস্তি নিশ্চিতকরাসহ সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবি করেন।